Description
সেই চরিত্রদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলাম, যাদের আমি হত্যা করি, অবহেলা করি। ধর্ষণ ও ক্ষুধা, অভাব-অনটন অত্যাচারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়ে লেখিকা হই।
কবর দিই, তবে নাকের মাটিটা একটু সরিয়ে রাখি, যদি এ-চরিত্রকে আবার আনতে হয়। তারপর সে এক নতুন যুদ্ধ–শব্দ নেই, তীর-তলোয়ারের ঝঙ্কার নেই, বোমা-বাজির হুঙ্কারও নেই। কেমন যেন মিনমিনে মিশকে বারুদের ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা। টেরও পায় না পাশের চরিত্ররা, কে কীভাবে কখন কোথা থেকে টেনে তুলল কার পচা দেহ, কঙ্কাল! এমনটা তো মিথ্যে নয়, হবহু এমনই তো হয়। তাই সেই চরিত্ররা অক্ষরে অক্ষরেই থেকে যায় না, নাড়িয়ে দেয় দেশ-কাল ও মননবিশ্ব।
লেখক: মূলত কবি হলেও সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তিনি তাঁর মনন, চিন্তন, কল্পন ও আবেগের মেধাবী ছাপ রেখে চলেছেন। চারটি কাব্যগ্রন্থের পাশাপাশি তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘জঙ্গলিপি’ ও নারী-বিষয়ক নিবন্ধ গ্রন্থ ‘যদিও দুপুর তবুও রাত্রি এখন’ বৃহত্তর পাঠকমহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র মহিলাদের লেখায় সমৃদ্ধ পত্রিকা ‘নবসোপান’ নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে তিনি তাঁর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দায়বদ্ধতা পালন করে চলেছেন।