Description
যতীন দাস পাঠাগার। বয়স তার আটানব্বই। সাকিন সার্দান মার্কেটের দ্বিতল। সেখানে এই সৌরলোকের কয়েকজন বামন প্রায়শই নরক গুলজার করি। একদা এ হেন এক গুলজারে কবিতাপ্রেমী জনৈকা কথায় কথায়, ভেবে অথবা না ভেবে, শঙ্করের জীবনী ঘাঁটতে শুরু করেন। তাঁর বলা কয়েকটি তথ্য নিয়ে আমি দ্বিমত পোষণ করি। তারপরই শুরু হয়ে গেল ‘নারদ, নারদ। লাগ, লাগ।’
তখনকার মতো কলহ ছেড়ে সন্ধি মোডে শিফট করি। বাড়ি ফিরে যে দুচারটে শঙ্কর জীবন ও দর্শন ছিল সেগুলো খুঁজে পেতে পড়া শুরু করি। আর এই পড়তে পড়তেই পাঠাগারের হোয়াটস্ আপ গ্রুপে শঙ্কর জীবনী নিয়ে নিজের মতো করে লিখতে থাকি। এ আমার নিতান্ত লঘুচিত্তের অবৈদিক অগৈরিক ক্রিয়াকান্ড।
ভেবেছিলাম এ যজ্ঞের প্রদীপের ফুয়েল ফুরোলো বলে, কিন্তু শঙ্করের ইচ্ছায় হলো উল্টো। গ্রুপের সদস্যরা প্রচুর পরিমাণে ‘দারুণ হচ্ছে’, ‘থামবেন না’ ‘কত কি জানতে পারছি’ ইত্যাদি নানান উদ্দীপনার খাঁটি তেলে আমার ইচ্ছের সলতেটি সিক্ত রাখলেন। আর তারই সগুণ প্রকাশ এই অতিশীর্ণ পুস্তিকা ।
শঙ্করের অদ্বৈত দর্শন বা মায়াবাদ মেনেই আমিও নবম শতকের এই মহাকবির সাযুজ্য অভিলাষে মোহমুক্ত হয়ে স্ব-স্বরূপের জীবন্ত উপলব্ধির আশায় পুনঃ মোহগ্রস্ত হয়ে দুচারকথা লিখেছি এই আশায় যে হয়ত এই বই পড়ে কেউ কেউ উৎসাহী হবেন ‘ব্রহ্ম সত্য, জগত মিথ্যা’ ভাবনায় ।