Bestseller

শঙ্করাচার্য্য

কৈশোরে জেলাস্তরে দাপিয়ে ফুটবল। লেফট আউট। নানান কিসিমের পুরস্কার। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই বুঝে ছিলেন েয ঐ গত শতাব্দীর ছয় আর সাতের দশকের সন্ধিক্ষণ ফুটবল খেলার জন্য নয়; এ হলে, এ হবে, যা এতদিন হয়নি, সেই মুক্তির দশক যেখানে সে এখন থেকে খেলবে।
তা সে মাঠে প্রথমেই শুরু হলো লেখালিখি, জন্ম নিল ঋত্বিক পত্রিকা যা মোটামুটি পরের পঁয়ত্রিশ বছর নিয়মিত/অনিয়মিত ছিল। এরই মধ্যে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি; হয়েছে জীবন ও জীবিকার সাথে গোপন আঁতাত যা তত সুন্দর নয় আবার অসুন্দরও নয়, একপ্রকার সমঝোতা। তারপর একে একে প্রকাশিত ছাব্বিশ গ্রন্থ; আর সঙ্গে আছে অজস্র অগ্রন্থিত প্রবন্ধ, িনবন্ধ ও েছাটগল্প, উপন্যাস ও তার খসড়া।
ক্রমে অবসর এল জীবিকা ও লেখালেখি উভয় থেকেই। লেখার ইচ্ছে যদিও সম্পূর্ণ থামেনি, কিন্তু মাথা তুলেছে ছাপাছাপিতে প্রবল অনীহা।
তিনি মনে করেন আন্ডারগ্রাউন্ড সাহিত্য আন্দোলনের নক্ষত্র পুরুষ শ্রী রমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় গত পঞ্চাশ বছর ধরে তঁার সমস্ত েলখােলখির উৎস।
তিনি শুধু শিল্প ও সাহিত্যের রস নয়, প্রতিদিনের রন্ধনশিল্পের রসনাবিলাসী বলেও দাবী করেন।

Language:

Book Details:

ISBN:
978-81-19574-51-3
Writer/Editor:
গৌতম মুখোপাধ্যায়
Release Year:
2024
Edition:
First Edition
Format:
Paperback

Description

যতীন দাস পাঠাগার। বয়স তার আটানব্বই। সাকিন সার্দান মার্কেটের দ্বিতল। সেখানে এই সৌরলোকের কয়েকজন বামন প্রায়শই নরক গুলজার করি। একদা এ হেন এক গুলজারে কবিতাপ্রেমী জনৈকা কথায় কথায়, ভেবে অথবা না ভেবে, শঙ্করের জীবনী ঘাঁটতে শুরু করেন। তাঁর বলা কয়েকটি তথ্য নিয়ে আমি দ্বিমত পোষণ করি। তারপরই শুরু হয়ে গেল ‘নারদ, নারদ। লাগ, লাগ।’
তখনকার মতো কলহ ছেড়ে সন্ধি মোডে শিফট করি। বাড়ি ফিরে যে দুচারটে শঙ্কর জীবন ও দর্শন ছিল সেগুলো খুঁজে পেতে পড়া শুরু করি। আর এই পড়তে পড়তেই পাঠাগারের হোয়াটস্‌ আপ গ্রুপে শঙ্কর জীবনী নিয়ে নিজের মতো করে লিখতে থাকি। এ আমার নিতান্ত লঘুচিত্তের অবৈদিক অগৈরিক ক্রিয়াকান্ড।
ভেবেছিলাম এ যজ্ঞের প্রদীপের ফুয়েল ফুরোলো বলে, কিন্তু শঙ্করের ইচ্ছায় হলো উল্টো। গ্রুপের সদস্যরা প্রচুর পরিমাণে ‘দারুণ হচ্ছে’, ‘থামবেন না’ ‘কত কি জানতে পারছি’ ইত্যাদি নানান উদ্দীপনার খাঁটি তেলে আমার ইচ্ছের সলতেটি সিক্ত রাখলেন। আর তারই সগুণ প্রকাশ এই অতিশীর্ণ পুস্তিকা ।
শঙ্করের অদ্বৈত দর্শন বা মায়াবাদ মেনেই আমিও নবম শতকের এই মহাকবির সাযুজ্য অভিলাষে মোহমুক্ত হয়ে স্ব-স্বরূপের জীবন্ত উপলব্ধির আশায় পুনঃ মোহগ্রস্ত হয়ে দুচারকথা লিখেছি এই আশায় যে হয়ত এই বই পড়ে কেউ কেউ উৎসাহী হবেন ‘ব্রহ্ম সত্য, জগত মিথ্যা’ ভাবনায় ।